WAJEHIA MOHAMMADIA TARICA

News: MAHFIL  ROUTINE: 1. Yearly Mahfil  a. Eid E Miladunnabi   (Sallallahu Alaihi Wa Sallam)11Rabiul Aeull   b. Eid E Miladul Wajeeh   (Radhiallahu Anhu) 11jilkad  2. Monthly Mahfil  a.The Holy Ashura   b. The Akheri Chahar Somba   c. Mi’rajunnabi (Sallahu Alaihi Wa Sallam)Night   d. Lailatul Barat   e. Lailatul Qadr   f. 18th ramadan- Iftar Mahfil (Darbar’s)   g. 18th Ramadan- Iftar Mahfil (RANI MA’s)   h. 29th Zilhajj- (night) Khandakar Qari Mohammad AbulHashem  (radhiallahu Anhu)’s Isal ESawab Mahfil   i. 11th Rabius Sani  (night)Fateha E Iyazdahm   And Umme Hani  (RANI MA) (RadiallahuAnha)’s   Isal E Sawab Mahfil  3.Weekly Mahfil   Every Thursday after   ‘Isha- Zikr, Milad   And Qiyam Mahfil   Other Mahfils a. Salatul Jum’a   b. Eid ul Fitr   c. Eid ul Azha   d. Afarafa Day   Mahfils For Bangladesh Affairs Routine: a. Independence Day of Bangladesh, 26th March   b. Victory Day of Bangladesh, 16th December   c. International Mother Language Day and National Shaheed Day, 21th February   d. Death Anniversary of Shahid President Ziaur Rahman, 30th May   d. National Mourning Day and Death Anniversary of Father of the Nation Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman, 15th August  

মাযার নির্মাণ 09



জরুরি জ্ঞাতব্য
এখানে ইবনে কাইয়্যেম স্বয়ং একটি সন্দেহের অপনোদন করেছে মর্মে যে স্বপ্ন কীভাবে কোনো কিছুর প্রমাণ হতে পারে, যে প্রশ্নটি কারো ভাবনায় উদিত হওয়া সম্ভব। সে বলে, স্বপ্ন কোনো দালিলিক প্রমাণ না হলেও এর বিবরণ এতো অধিক পরিমাণে এসেছে, আর তাও আবার সত্যনিষ্ঠ ন্যায়পরায়ণ ব্যক্তিদের কাছ থেকে এগুলো বর্ণিত হওয়ায় এগুলোকে তাঁদের (জাগ্রত অবস্থায়) কথপোকথনের সমকক্ষ বিবেচনা করতে হবে। কেননা, তাঁদের দৃষ্টিতে যা মহান, তা আল্লাহর দৃষ্টিতেও উত্তম। ছাড়া সুস্পষ্ট প্রামাণ্য দলিল দ্বারাও এই বিষয়টি সপ্রমাণিত। [কিতাবুর রূহ]
ইবনে কাইয়্যেম আরও লেখে:
অতীতকাল থেকে ইন্তেকালপ্রাপ্ত ব্যক্তিদেরকে কবরে তালকীন করার নিয়ম চলে আসছে। অর্থাৎ,কলেমা--তাইয়্যেবাহ তাঁদেরকে পড়ে শোনানো হয়ে থাকে। ইন্তেকালপ্রাপ্ত ব্যক্তিগণ যে ইন্তেকালের পরে শুনতে পান, তালকীনের মাধ্যমেও তা প্রমাণিত হয়। এছাড়া তালকীনের দ্বারা ইন্তেকালপ্রাপ্ত ব্যক্তিগণ উপকৃত হন; তা না হলে তালকীন করার কোনো অর্থ- হয় না।উক্ত (তালকীনের) বিষয়ে ইমাম আহমদ হাম্বল (রহ:)-কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি এই অভিমত ব্যক্ত করেন যে ইন্তেকালপ্রাপ্ত ব্যক্তিদেরকে তালকীন করা একটি নেক কাজ; মানুষের মল থেকে তা প্রমাণিত হয়। তালকীন সম্পর্কে মুজাম তাবরানী গ্রন্থের মধ্যে হযরত আবূ উমামা (রা:) থেকে বর্ণিত একটি দুর্বল হাদীসও রয়েছে। হাদীসটি হলো, নূরনবী (:) এরশাদ ফরমান: ‘কোনো ইন্তেকালপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে কবরে মাটি দেয়ার পর তোমাদের একজন তাঁর শিয়রের দিকে দাঁড়িয়ে তাঁর নাম তাঁর মায়ের নাম ধরে ডাক দেবে। কেননা, ইন্তেকালপ্রাপ্ত ব্যক্তি তা শুনতে পান, কিন্তু উত্তর দিতে পারেন না। দ্বিতীয়বার তাঁর নাম ধরে ডাক দিলে তিনি উঠে বসেন। আর তৃতীয়বার ডাক দিলে তিনি উত্তর দেন, কিন্তু তোমরা তা শুনতে পাও না। তোমরা তালকীনের মাধ্যমে বলবে, আল্লাহ পাক আপনার প্রতি রহম করুন, আমাদের তালকীনের দ্বারা আপনি উপকৃত হোন। তারপর বলবে, আপনি তাওহীদ রেসালাতের যে স্বীকৃতি দিয়ে দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছেন, তা স্মরণ করুন। অর্থাৎ, লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ বাক্যটি পাঠ করুন তা স্মরণ রাখুন। আল্লাহ রাব্বুল লামীন, দ্বীনে ইসলাম, হযরত মোহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লামের নবুয়্যত এবং কুরআন মজীদ যে আমাদের পথপ্রদর্শনকারী, সব বিষয়ে যে আপনি রাজি ছিলেন, তাও স্মরণ করুন।এই তালকীন শুনে মুনকার-নকীর ফেরেশতা দুজন সেখান থেকে সরে যান এবং বলেন, চলো, আমরা ফিরে যাই; এর কাছে থাকার আমাদের আর কোনো প্রয়োজন নেই। ব্যক্তিকে তাঁর ঈমান আকীদা-বিশ্বাস সম্পর্কে সব কিছুই স্মরণ কয়ে দেয়া হয়েছে। আর তাই তিনি তালকীনের মাধ্যমে আল্লাহ তাঁর রাসূল (:) সম্পর্কে অবহিত হয়েছেন
প্রাগুক্ত, ২০ পৃষ্ঠা, বাংলা সংস্করণ
দলিল নং১৮
হযরত সাঈদ ইবনে মুসাইয়াব (রা:) বলেন,
মসজিদে নববী শরীফে যেদিন (অর্থাৎ, ’হাররা ঘটনার দিন; ৬১ হিজরীর ওই দিনে এয়াজীদী বাহিনী মদীনাবাসীর ওপর অত্যাচার-নিপীড়ন চালিয়েছিল) আযান দেয়া যায়নি এবং নামায পড়া যায়নি, সেদিনআল-হুজরাত আন্ নববীয়্যা’ (রওযা শরীফ) হতে আযান একামত পাঠ করতে শোনা গিয়েছিল।ইবনে তাইমিয়া (মৃত্যু: ৭২৮ হিজরী/১৩২৮ খৃষ্টাব্দ)- নিজএকতেদাআস্ সিরাতিল্ মুসতাকিমপুস্তকে ঘটনা বর্ণনা করেছে
দলিল নং১৯
ইবনে কাইয়্যেম আল-জাওযিয়্যা নিজকিতাবুর রূহপুস্তকে ইবনে আবিদ্ দুনইয়া (রহ:)-এর সূত্রে সাদাকাহ ইবনে সুলাইমান (রা:)-এর কথা উদ্ধৃত করেন, যিনি বর্ণনা করেন
একবার তিনি (সাদাকাহ) একটি কুৎসিত চারিত্রিক দোষে আক্রান্ত হয়েছিলেন। ইতোমধ্যে তাঁর পিতা ইন্তেকাল করেন। পিতার ইন্তেকালের পরে তিনি তাঁর কৃতকর্মের জন্যে লজ্জিত হন। অতঃপর তিনি তাঁর পিতাকে স্বপ্নে দেখেন। তাঁর পিতা বলেন, প্রিয় পুত্র, আমি তোমার নেক আমলের কারণে কবরে শান্তিতে ছিলাম। তোমার নেক আমল আমাদেরকে দেখানো হয়। কিন্তু সম্প্রতি তুমি যা করেছ, তা আমাকে আমার ইন্তেকালপ্রাপ্ত সঙ্গিদের কাছে অত্যন্ত শরমিন্দা (লজ্জিত) করেছে। আমাকে আর তুমি আমার ইন্তেকালপ্রাপ্ত সঙ্গিদের সামনে লজ্জিত করো না।কিতাবুর রূহ, বাংলা সংস্করণ, ১১ পৃষ্ঠা, ১৯৯৮
দলিল নং২০
ইবরাহিম ইবনে শায়বান বলেন:
আমি কোনো এক বছর হজ্জ্বে গেলে মদীনা মোনাওয়ারায় মহানবী (:)-এর রওযা শরীফেও যেয়ারত উদ্দেশ্যে যাই। তাঁকে সালাম জানানোর পরেহুজরাহ আস্ সাআদা ভেতর থেকে জবাব শুনতে পাই: ‘ওয়া আলাইকুম আস্ সালাম
এই বর্ণনা লিপিবদ্ধ করেছেন মোহাম্মদ ইবনে হিব্বান (রহ:)-এর সূত্রে আবূ নুয়াইম তাঁর কৃতআত্ তারগিব’ (# ১০২) পুস্তকে; ইবনে আন্ নাজ্জার নিজআখবার আল-মদীনাগ্রন্থে (১৪৬ পৃষ্ঠা) ইবনে জাওযী স্বরচিতমুতির আল-গারামবইয়ে (৪৮৬-৪৯৮ পৃষ্ঠা) এটি উদ্ধৃত করেন; আল-ফায়রোযাবাদী রওয়ায়াত তারআল-সিলাত ওয়াল্ বুশরপুস্তকে (৫৪ পৃষ্ঠা) এবং ইবনে তাইমিয়া নিজএয়াতেদাআল-সীরাত আল-মুস্তাকীমগ্রন্থে (পৃষ্ঠা ৩৭৩-৩৭৪) এই বর্ণনা লিপিবদ্ধ করে
দলিল নং২১
ইবনে তাইমিয়াকে জিজ্ঞেস করা হয় ইন্তেকালপ্রাপ্ত মুসলমানবৃন্দ তাঁদের যেয়ারতকারীদেরকে চিনতে পারেন কি-না। সে জবাবে বলে:
যেয়ারতকারীদেরকে যে ইন্তেকালপ্রাপ্ত মুসলমানবৃন্দ চিনতে পারেন, ব্যাপারে কোনো সন্দেহ- নেই।তার কথার সমর্থনে সে নিম্নের হাদীসটি পেশ করে, “ইন্তেকালপ্রাপ্তদের সচেতনতার পক্ষে প্রামাণিক দলিল হচ্ছে বোখারী মুসলিম শরীফে বর্ণিত একখানা হাদীস, যাতে রাসূলুল্লাহ (:) এরশাদ করেন যে কোনো ইন্তেকালপ্রাপ্ত মুসলমানকে দাফনের পরে ঘরে প্রত্যাবর্তনকারী মানুষের পায়ের জুতোর শব্দ ইন্তেকালপ্রাপ্ত ব্যক্তি শুনতে পান।ইবনে তাইমিয়ারমজমুয়াআল-ফাতাওয়া’, ২৪তম খণ্ড, ৩৬২ পৃষ্ঠা
দলিল নং২২ [ইবনুল জাওযী]
ইবনুল জাওযী বিষয়ে একখানা বই লেখেন, যেখানে তিনি আউলিয়া কেরাম (রহ:)-এর জীবনীর বিস্তারিত বিবরণ দেন। তিনি লেখেন:
হযরত মারূফ কারখী (বেসাল: ২০০ হিজরী): ”তাঁর মাযার শরীফ বাগদাদে অবস্থিত; আর তা থেকে মানুষেরা বরকত আদায় করেন। ইমাম আহমদ বিন হাম্বল (রহ:)-এর সাথী হাফেয ইবরাহীম আল-হারবী (বেসাল: ২৮৫ হিজরী) বলতেন, হযরত মারূফ কারখী (রহ:)-এর মাযার শরীফ হচ্ছে পরীক্ষিত আরোগ্যস্থল” (:২১৪) ইবনে জাওযী আরও বলেন, “আমরা নিজেরাই ইবরাহীম আল-হারবী (রহ:)-এর মাযার যেয়ারত করে তা থেকে বরকত আদায় করে থাকি।” [:৪১০]
হাফেয যাহাবীও হযরত ইবরাহীম আল-হারবী (রহ:)-এর উপরোক্ত কথা (হযরত মারূফ কারখী (রহ:)-এর মাযার শরীফ হচ্ছে পরীক্ষিত আরোগ্যস্থল) বর্ণনা করেন।— ‘সিয়্যার লম আল-নুবালা’, :৩৪৩
ইবনে আল-জাওযী নিজমুতির আল-গারাম আস্ সাকিন ইলা আশরাফ আল-আমাকিনগ্রন্থে লেখেন:
রাসূলুল্লাহ (:)-এর রওযা মোবারক যেয়ারতকারীর উচিত যথাসাধ্য শ্রদ্ধাসহ সেখানে দাঁড়ানো, এমনভাবে যেন তিনি হুযূর পাক (:)-এর হায়াতে তাইয়েবার সময়েই তাঁর সাক্ষাৎ লাভ করছেন। হযরত ইবনে উমর (রা:) বর্ণনা করেন মহানবী (:)-এর বাণী, যিনি এরশাদ ফরমান: “যে ব্যক্তি হজ্জ্ব সম্পন্ন করে আমার বেসালের পরে আমার- রওযা মোবারক যেয়ারত করলো, সে যেন আমার যাহেরী জিন্দেগীর সময়েই আমার সাক্ষাৎ পেলো।হযরত ইবনে উমর (রা:) আরও বর্ণনা করেন নবী করীম (:)-এর হাদীস, যিনি এরশাদ ফরমান: “যে ব্যক্তি আমার রওযা পাক যেয়ারত করে, সে আমার শাফায়াত পাওয়ার যোগ্য হয়।হযরত আনাস (রা:) মহানবী (:)-এর হাদীস বর্ণনা করেন, যিনি এরশাদ ফরমান: “যে ব্যক্তি একমাত্র আমার যেয়ারতের উদ্দেশ্যেই (’মোহতাসিবান’) মদীনায় আমার (রওযা) যেয়ারত করতে আসে, শেষ বিচার দিবসে আমি- তার পক্ষে সাক্ষী সুপারিশকারী হবো।মুতির আল-গারাম আস্ সাকিন ইলা আশরাফ আল-আমাকিন, মহানবী (:)-এর রওযা মোবারক যেয়ারত অধ্যায়
হাফেয ইবনে জাওযী কৃতকিতাব আল-ওয়াফা
আবূ বকর মিনকারী বলেন: আমি কিছুটুকু পেরেশানি অবস্থায় হাফেয আত্ তাবারানী আবূল শায়খের সাথে মসজিদে নববীর ভেতরে অবস্থান করছিলাম। ওই সময় আমরা ভীষণ অভুক্ত ছিলাম। ওই দিন এবং ওর আগের দিন কিছুই আমরা খাইনি। এশা নামাযের সময় হলে আমি রাসূলে খোদা (:)-এর রওযা পাকের সামনে অগ্রসর হই এবং আরয করি, ‘এয়া রাসূলাল্লাহ (:)! আমরা ক্ষুধার্ত, আমরা ক্ষুধার্ত (এয়া রাসূলাল্লাহ আল-জুআল-জু’)!’ অতঃপর আমি সরে আসি। আবূ শায়খ আমাকে বলেন, ’বসুন। হয় আমাদের জন্যে খাবারের ব্যবস্থা হবে, নয়তো এখানেই মারা যাবো।এমতাবস্থায় আমি ঘুমিয়ে পড়ি এবং আবূ আল-শায়খও ঘুমিয়ে পড়েন। আত্ তাবারানী জেগে থেকে কিছু একটি নিয়ে অধ্যয়ন করছিলেন। ওই সময় এক আলাউইয়ী (হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু বংশধর) দরজায় এসে উপস্থিত; তাঁর সাথে ছিল দুইজন বালক, যাদের প্রত্যেকের হাতে ছিল খাবারভর্তি একখানা তাল-পাতার ঝুড়ি। আমরা উঠে বসে খাবার গ্রহণ আরম্ভ করলাম। আমরা মনে করেছিলাম, বাচ্চা দুজন অবশিষ্ট খাবার ফেরত নিয়ে যাবে। কিন্তু তারা সবই রেখে যায়। আমাদের খাওয়া শেষ হলে ওই আলাউইয়ী বলেন, ‘ওহে মানব সকল, আপনারা কি রাসূলুল্রাহ (:)-এর কাছে আরয করেছিলেন? আমি তাঁকে স্বপ্নে দেখি, আর তিনি আমাকে আপনাদের জন্যে খাবার নিয়ে আসতে বলেন।হাফেয ইবনে জাওযী, ‘কিতাব আল-ওয়াফা, ৮১৮ পৃষ্ঠা; # ১৫৩৬