WAJEHIA MOHAMMADIA TARICA

News: MAHFIL  ROUTINE: 1. Yearly Mahfil  a. Eid E Miladunnabi   (Sallallahu Alaihi Wa Sallam)11Rabiul Aeull   b. Eid E Miladul Wajeeh   (Radhiallahu Anhu) 11jilkad  2. Monthly Mahfil  a.The Holy Ashura   b. The Akheri Chahar Somba   c. Mi’rajunnabi (Sallahu Alaihi Wa Sallam)Night   d. Lailatul Barat   e. Lailatul Qadr   f. 18th ramadan- Iftar Mahfil (Darbar’s)   g. 18th Ramadan- Iftar Mahfil (RANI MA’s)   h. 29th Zilhajj- (night) Khandakar Qari Mohammad AbulHashem  (radhiallahu Anhu)’s Isal ESawab Mahfil   i. 11th Rabius Sani  (night)Fateha E Iyazdahm   And Umme Hani  (RANI MA) (RadiallahuAnha)’s   Isal E Sawab Mahfil  3.Weekly Mahfil   Every Thursday after   ‘Isha- Zikr, Milad   And Qiyam Mahfil   Other Mahfils a. Salatul Jum’a   b. Eid ul Fitr   c. Eid ul Azha   d. Afarafa Day   Mahfils For Bangladesh Affairs Routine: a. Independence Day of Bangladesh, 26th March   b. Victory Day of Bangladesh, 16th December   c. International Mother Language Day and National Shaheed Day, 21th February   d. Death Anniversary of Shahid President Ziaur Rahman, 30th May   d. National Mourning Day and Death Anniversary of Father of the Nation Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman, 15th August  

মাযার নির্মাণ 06



জ্ঞাতব্য
এটি সমর্থনসূচক দলিল হিসেবে উদ্ধৃত
দলিল নং [ঈমানদারদের মা হযরত আয়েশা সিদ্দিকা (রা.) হতে প্রমাণ]
ইমাম দারিমী বর্ণনা করেন হযরত আবূল জাওযাআউস ইবনে আব্দিল্লাহ (রা:) হতে, ‍যিনি বলেন: মদীনাবাসীগণ একবার দুর্ভিক্ষের কবলে পড়েন। তাঁরা মা আয়েশা (রা:)-এর কাছে (শোচনীয় অবস্থার) ব্যাপারে ফরিয়াদ করেন। তিনি তাঁদেরকে মহানবী (:)-এর রওযা শরীফে গিয়ে ওর ছাদে একটি ছিদ্র করতে বলেন এবং রওযা পাক আকাশের মাঝে কোনো বাধা না রাখতে নির্দেশ দেন। তাঁরা তা- করেন। অতঃপর মুষলধারে বৃষ্টি নামে। এতে সর্বত্র সবুজ ঘাস জন্মায় এবং উট হৃষ্টপুষ্ট হয়ে মনে হয় যেন চর্বিতে ফেটে পড়বে। এই বছরটিকেপ্রাচুর্যের বছরবলা হয়।সুনানে দারিমী, ১ম খণ্ড, ২২৭ পৃষ্ঠা, হাদীস নং ৯৩
রেফারেন্স:
  • শায়খ মোহাম্মদ বিন আলাউইয়ী মালেকী (মক্কা শরীফ) বলেন, “এই রওয়ায়াতের এসনাদ ভাল; বরঞ্চ, আমার মতে, এটি সহীহ (বিশুদ্ধ) উলেমাবৃন্দ এর নির্ভরযোগ্যতার বিষয়টি সমর্থন করেছেন এবং প্রায় সমকক্ষ বিশ্বস্ত প্রামাণিক দলিল দ্বারা এর খাঁটি হবার বিষয়টি প্রতিষ্ঠা করেছেন।” [শেফাউল ফুয়াদ বি-যেয়ারতে খায়রিল বাদ, ১৫৩ পৃষ্ঠা]
  • ইবনে আল-জাওযী, আল-ওয়াফাবি-আহওয়ালিল্ মোস্তফা (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) [:৮০১]
  • ইমাম তাকিউদ্দীন সুবকী (রহ:) কৃতশেফাউস্ সেকাম ফী যেয়ারাতে খায়রিল আনাম’ [১২৮ পৃষ্ঠা]
  • ইমাম কসতলানী (রহ:) প্রণীতআল-মাওয়াহিবুল লাদুন্নিয়াহ’ [:২৭৬]; এবং ইমাম যুরকানী মালেকী (রহ:) ‘শরহে মাওয়াহিব’ [১১:১৫০]
সনদ
আবূ নুয়াইম এই বর্ণনা শুনেছিলেন সাঈদ ইবনে যায়দ হতে; তিনি মর ইবনে মালেক আল-নুকরী হতে; তিনি হযরত আবূল জাওযা আউস্ বিন আবদিল্লাহ (রা:) হতে, যিনি এটি বর্ণনা করেন
দলিল নং
হযরত আবূ হোরায়রা (রা:) বর্ণনা করেন যে মহানবী (:) এরশাদ ফরমান, কেউ আমাকে সালাম জানালে আল্লাহ আমার রূহকে আমার কাছে ফিরিয়ে দেন এবং আমি তার সালামের প্রত্যুত্তর দেই।আবূ দাউদ শরীফ, ৪র্থ বই, হাদীস নং ২০৩৬
ইমাম নববী (রহ:) হাদীস সম্পর্কে বলেন,
আবূ দাউদ (রহ:) এটি সহীহ সনদে বর্ণনা করেছেন।রিয়াযুস্ সালেহীন, :২৫৫, হাদীসঃ ১৪০২
গায়রে মুকাল্লিদীন তথা লা-মযহাবী (আহলে হাদীস/’সালাফী’) গোষ্ঠীর নেতা কাজী শওকানী এই হাদীস বর্ণনার আগে বলে,
এটি ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (রহ:) ইমাম আবূ দাউদ (রহ:) সহীহ এবং মারফুসনদে হযরত আবূ হোরায়রা (রা:) থেকে বর্ণনা করেন।নায়ল আল-আওতার, :১৬৪
দলিল নং
হযরত আবূদ্ দারদা (রা:) হতে বর্ণিত; মহানবী (:) এরশাদ ফরমান: “শুক্রবার দিন আমার প্রতি অগণিত সালাওয়াত পাঠ করো, কেননা তার সাক্ষ্য বহন করা হবে। ফেরেশতাকুল এর খেদমতে উপস্থিত থাকবেন। কেউ সালাওয়াত পাঠ আরম্ভ করলে তা শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমার কাছে পেশ হতে থাকবে।আমি (আবূদ্ দারদা) জিজ্ঞেস করলাম তাঁর বেসালপ্রাপ্তির পরও কি তা জারি থাকবে। তিনি জবাবে বল্লেন: “আল্লাহ পাক আম্বিয়া (:)-এর মোবারক শরীরকে মাটির জন্যে হারাম করে দিয়েছেন। তাঁরা তাঁদের মাযার-রওযায় জীবিতাস্থায় আছেন এবং সেখানে তাঁরা রিযক- পেয়ে থাকেন।
রেফারেন্স
  • হযরত আবূদ্ দারদা (রা:) বর্ণিত তিরমিযী শরীফে লিপিবদ্ধ; হাদীস নং ১৩৬৬
  • সুনানে ইবনে মাজাহ, ১ম খণ্ড, হাদীস নং ১৬২৬
  • আবূ দাউদ শরীফ, ২য় খণ্ড, হাদীস নং ১৫২৬
দলিল নং
ইমাম যাহাবী বর্ণনা করেন:
একবার সমরকন্দ অঞ্চলে খরা দেখা দেয়। মানুষজন যথাসাধ্য চেষ্টা করেন; কেউ কেউ সালাত আল-এস্তেসক্কা (বৃষ্টির জন্যে নামায-দোয়া) পড়েন, কিন্তু তাও বৃষ্টি নামে নি। এমতাবস্থায় সালেহ নামের এক প্রসিদ্ধ নেককার ব্যক্তি শহরের কাজী (বিচারক)-এর কাছে উপস্থিত হন এবং বলেন, আমার মতে আপনার এবং মুসলমান সর্বসাধারণের ইমাম বোখারী (রহ:)-এর মাযার শরীফ যেয়ারত করা উচিত। তাঁর মাযার শরীফ খারতাংক এলাকায় অবস্থিত। ওখানে মাযারের কাছে গিয়ে বৃষ্টি চাইলে আল্লাহ হয়তো বৃষ্টি মঞ্জুর করতেও পারেন। অতঃপর বিচারক ওই পুণ্যবান ব্যক্তির পরামর্শে সায় দেন এবং মানুষজনকে সাথে নিয়ে ইমাম সাহেব (রহ:)-এর মাযারে যান। সেখানে (মাযারে) বিচারক সবাইকে সাথে নিয়ে একটি দোয়া পাঠ করেন; সময় মানুষেরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন এবং ইমাম সাহেব (রহ:)-কে দোয়ার মধ্যে অসীলা হিসেবে গ্রহণ করেন। আর অমনি আল্লাহতালা মেঘমালা পাঠিয়ে ভারি বর্ষণ অবতীর্ণ করেন। সবাই খারতাংক এলাকায় দিন যাবত অবস্থান করেন এবং তাঁদের কেউই সামারকান্দ ফিরে যেতে চাননি। অথচ এই দুটি স্থানের দূরত্ব মাত্র মাইল।ইমাম যাহাবী কৃত সিয়্যার আল-লম ওয়ান্ নুবালাহ, ১২তম খণ্ড, ৪৬৯ পৃষ্ঠা
জ্ঞাতব্য
এটি সমর্থনসূচক দলিল হিসেবে এখানে উদ্ধৃত
দলিল নং১০
ইমাম ইবনুল হাজ্জ্ব (রহ:) বলেন
সালেহীন তথা পুণ্যবানদের মাযার-রওযা হতে বরকত আদায় (আশীর্বাদ লাভ) করার লক্ষ্যে যেয়ারত করতে বলা হয়েছে। কেননা, বুযূর্গদের হায়াতে জিন্দেগীর সময় যে বরকত আদায় করা যেতো, তা তাঁদের বেসালের পরও লাভ করা যায়। উলেমাবৃন্দ মোহাক্কিক্কীন (খোদার নৈকট্যপ্রাপ্তজন) এই রীতি অনুসরণ করতেন যে তাঁরা আউলিয়াবৃন্দের মাযার-রওযা যেয়ারত করে তাঁদের শাফায়াত (সুপারিশ) কামনা করতেন……কারো কোনো হাজত বা প্রয়োজন থাকলে তার উচিত আউলিয়া কেরামের মাযার-রওযা যেয়ারত করে তাঁদেরকে অসীলা করা। আর কাজে (বাধা দিতে) এই যুক্তি দেখানো উচিত নয় যে মহানবী (:) তিনটি মসজিদ (মসজিদে হারাম, মসজিদে নববী মসজিদে আকসা) ছাড়া অন্য কোথাও সফর করতে নিষেধ করেছিলেন। মহান ইমাম আবূ হামীদ আল-গাযযালী (রহ:) নিজএহইয়াপুস্তকেরআদাব আস্ সফরঅধ্যায়ে উল্লেখ করেন যে হজ্জ্ব জেহাদের মতো এবাদতগুলোর ক্ষেত্রে সফর করা বাধ্যতামূলক। অতঃপর তিনি বলেন, ‘এতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে আম্বিয়া (:), সাহাবা--কেরাম (রা:), তাবেঈন (রহ:) সকল আউলিয়া হক্কানী উলেমাবৃন্দের মাযার-রওযা যেয়ারতের উদ্দেশ্যে সফর। যাঁর কাছে তাঁর যাহেরী জীবদ্দশায় সাহায্য চাওয়া জায়েয ছিল, তাঁর কাছে তাঁর বেসালের পরও (যেয়ারত করে) সাহায্য চাওয়া জায়েযইমাম ইবনুল হাজ্জ্ব প্রণীত আল-মাদখাল, ১ম খণ্ড, ২১৬ পৃষ্ঠা
ইমাম আবূ আবদিল্লাহ ইবনিল হাজ্জ্ব আল-মালেকী (রহ:) আউলিয়া সালেহীনবৃন্দের মাযার-রওযা যেয়ারত সম্পর্কে একটি সম্পূর্ণ অধ্যায় রচনা করেন। তাতে তিনি লেখেন:
মুতালিম (শিক্ষার্থী)-দের উচিত আউলিয়া সালেহীনবৃন্দের সান্নিধ্যে যাওয়া; কেননা তাঁদের দেখা পাওয়াতে অন্তর জীবন লাভ করে, যেমনিভাবে বৃষ্টি দ্বারা মাটি উর্বর হয়। তাঁদের সন্দর্শন দ্বারা পাষাণ হৃদয়ও নরম বা বিগলিত হয়। কারণ তাঁরা আল্লাহ পাকেরই বরগাহে সর্বদা উপস্থিত থাকেন, যে মহাপ্রভু পরম করুণাময়। তিনি কখনােই তাঁদের এবাদত-বন্দেগী বা নিয়্যতকে প্রত্যাখ্যান করেন না, কিংবা যারা তাঁদের মাহফিলে হাজির হন তাঁদেরকে চিনতে পারেন এবং তাঁদেরকে ভালোবোসেন, তাদেরকেও প্রত্যাখ্যান করেন না। এটি কারণে যে তাঁরা হলেন আল্লাহ তাঁর রাসূল (:)-এর পরে রহমতস্বরূপ, যে রহমত আল্লাহ-ওয়ালাদের জন্যে অবারিত। অতএব, কেউ যদি এই গুণে গুণান্বিত হন, তাহলে সর্বসাধারণের উচিত ত্বরিত তাঁর কাছ থেকে বরকত আদায় করা। কেননা, যারা এই আল্লাহ-ওয়ালাদের দেখা পান, তারা এমন রহমত-বরকত, জ্ঞান-প্রজ্ঞা স্মৃতিশক্তি লাভ করেন যা ব্যাখ্যার অতীত। আপনারা দেখবেন ওই একই মাআনী দ্বারা যে কেউ অনেক মানুষকে জ্ঞান-প্রজ্ঞা জযবা (ঐশী ভাব)-এর ক্ষেত্রে পূর্ণতা লাভ করতে দেখতে পাবেন। যে ব্যক্তি এই রহমত-বরকতকে শ্রদ্ধা বা সম্মান করেন, তিনি কখনোই তা থেকে দূরে থাকেন না (মানে বঞ্চিত হন না) তবে শর্ত হলো এই যে, যাঁর সান্নিধ্য তলব করা হবে, তাঁকে অবশ্যই সুন্নাতের পায়রুবী করতে হবে এবং সুন্নাহকে হেফাযত তথা সমুন্নত রাখতে হবে; আর তা নিজের কর্মেও প্রতিফলিত করতে হবে।ইবনুল হাজ্জ্ব রচিত আল-মাদখাল, ২য় খণ্ড, ১৩৯ পৃষ্ঠা
দলিল নং১১
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা:) বর্ণনা করেন যে হুযূর পূর নূর (:) এরশাদ ফরমান: “আমার বেসালপ্রাপ্তির পরে যে ব্যক্তি আমার রওযা মোবারক যেয়ারত করে, সে যেন আমার হায়াতে জিন্দেগীর সময়েই আমার দেখা পেল
রেফারেন্স
  • আত্ তাবারানী, ২য় খণ্ড, হাদীস নং ৪০৬
  • ইমাম বায়হাকী প্রণীত শুয়াবুল ঈমান, ৩য় খণ্ড, হাদীস নং ৪৮৯
জ্ঞাতব্য
এই হাদীসটি হযরত ইবনে উমর (রা:) কর্তৃক বর্ণিত হলেও এর এসনাদে বর্ণনাকারীরা একেবারেই ভিন্ন; আর তাই হাদীস হাসান পর্যায়ভুক্ত
ইমাম ইবনে কুদামা (রহ:) বলেন, “মহানবী (:)-এর রওযা শরীফের যেয়ারত মোস্তাহাব (প্রশংসনীয়), যা হযরত ইবনে উমর (রা:)-এর সূত্রে আদ্ দারাকুতনী সহীহ সনদে বর্ণনা করেছেন এই মর্মে যে রাসূলুল্লাহ (:) এরশাদ করেন, ’যে ব্যক্তি হজ্জ্ব করে, তার উচিত আমার রওযা শরীফ য়েযারত করা; কারণ তা যেন আমার হায়াতে জিন্দেগীর সময়ে আমার- দর্শন লাভ হবে।তিনি আরেকটি হাদীসে এরশাদ ফরমান, ‘যে কেউ আমার রওযা যেয়ারত করলে তার জন্যে শাফায়াত (সুপারিশ) করা আমার প্রতি ওয়াজিব হয়”— ইমাম ইবনে কুদামা কৃত আল-মুগনী, ৫ম খণ্ড, ৩৮১ পৃষ্ঠা
  • ইমাম আল-বাহুতী আল-হাম্বলী (রহ:) নিজ আল-কাশাফ আল-ক্কান্না গ্রন্থের ২য় খণ্ডের ২৯০ পৃষ্ঠায় একই কথা বলেন
ইমাম কাজী আয়ায (রহ:) তাঁর সুপ্রসিদ্ধশেফা শরীফপুস্তকেরমহানবী (:)-এর রওযা মোবারক যেয়ারতের নির্দেশ এবং কারো দ্বারা তা যেয়ারত সালাম (সম্ভাষণ) জানানোর ফযীলতশীর্ষক অধ্যায়ে বলেন, ”এটি জ্ঞাত হওয়া উচিত যে মহানবী (:)-এর মোবারক রওযা যেয়ারত করা সকল মুসলমানের জন্যেমাসনূন’ (সর্বজনবিদিত রীতি); আর ব্যাপারে উলেমাবৃন্দের এজমাহয়েছে। এর এমন- ফযীলত যা হযরত ইবনে উমর (রা:)-এর বর্ণিত হাদীস দ্বারা আমাদের জন্যে সাব্যস্ত হয়েছে (অর্থাৎ, ’কেউ আমার রওযা যেয়ারত করলে তার জন্যে আমার শাফায়াত ওয়াজিব হবে’)”— ইমাম কাজী আয়ায কৃতশেফা শরীফ’, ২য় খণ্ড, ৫৩ পৃষ্ঠা