WAJEHIA MOHAMMADIA TARICA
News: |
সূচীপত্র/LABELS
- জীবন পঞ্জিকা মোবারক (4)
- প্রথমা (1)
- Hasemi Audo (5)
- Shajra Shareef (6)
নজদ প্রদেশ সম্পর্কে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ভবিষ্যৎবাণী
নজদ প্রদেশ
সম্পর্কে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ভবিষ্যৎবাণী
এবং ওহাবী মতবাদের প্রবক্তা মুহম্মদ আব্দুল ওহাব নজদীর কতিপয় ভ্রান্ত আক্বিদাঃ
↓
মুসলমান জাতির জন্য সব চাইতে একটি বড় দুঃস্বপ্ন, সবচাইতে বড় এক বিপর্যয়, সব চাইতে ভয়ানক এক অধ্যয়ের নাম হচ্ছে ওহাবী ফিৎনা| কুখ্যাত ইয়াজিদের উত্তরসূরি, এবং বৃটিশ সরকারের তিলেতিলে গড়ে তোলা এক এজেন্ট হচ্ছে ওহাবী ফের্কার প্রতিষ্ঠিাতা ইবনে আব্দুল ওহাব নজদী|
এতো ভয়ানক এই ফির্কা যেটা পবিত্র হাদীছ শরীফে সরাসরি সতর্ক করা হয়েছে-
আব্দুল ওহাব নজদীর ফিৎনা সম্পর্কে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ভবিষ্যৎবাণী করেছেন এভাব,
“হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত| তিনি বলেন, একদিন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দোয়া করলেন| আয় আল্লাহ্ পাক! আমাদের শ্যাম ও ইয়েমেন দেশে বরকত দিন| তখন ছাহাবা-ই-কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম আরজু করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমাদের নজদের জন্য দোয়া করুন| হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আবার শ্যাম ও ইয়েমেনের জন্য বরকতের দোয়া করলেন| আবার উনারা বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমাদের নজদের জন্য বরকতের দোয়া করুন| তবুও হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নজদের জন্য দোয়া অস্বীকার করে বললেন, আমি নজদের জন্য কি করে দোয়া করবো? কারণ তো ভূমিকম্প ও ফিৎনার সৃষ্টি হবে এবং তথায় শয়তানী দলের উৎপত্তি হবে|”
দলীল সমূহঃ-
✔ বুখারী শরীফ ২য় খন্ড পৃষ্ঠা ১০৫১,
✔ মিশকাত শরীফ ৫৮২ পৃষ্ঠা, ইয়ামন ও শামের বর্ননা অধ্যায়|
এই প্রসঙ্গে হানাফী মাযহাবের বিখ্যাত কিতাব “রদ্দুল মুখতার” কিতাবে বর্নিত হয়েছে-
ﻛﻤﺎ ﻭﻗﻊ ﻓﻲ ﺯﻣﺎﻧﻨﺎ ﻓﻲ ﺍﺗﺒﺎﻉ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﻮﻫﺎﺏ ﺍﻟﺬﻳﻦ ﺧﺮﺟﻮﺍ ﻣﻦ ﻧﺠﺪ ﻭﺗﻐﻠﺒﻮﺍ ﻋﻠﻲ ﺍﻟﺤﺮﻣﻴﻦ ﻭﻛﺎﻧﻮﺍ ﻳﻨﺘﺤﻠﻮﻥ ﺍﻟﻲ ﺍﻟﺤﻨﺎ ﺑﻠﺔ ﻟﻜﻦ ﻫﻢ ﺍﻋﺘﻘﺪﻭﺍ ﺍﻧﻬﻢ ﻫﻢ ﺍﻟﻤﺴﻠﻤﻮﻥ ﻭﺍﻥ ﻣﻦ ﺧﻠﻠﻒ ﺍﻋﺘﻘﺎﺩﻫﻢ ﻣﺸﺮﻛﻮﻥ ﻭ ﺍﺳﺘﺒﺎﻋﻮﺍ ﺑﺬﻟﻚ ﻗﺘﻞ ﺍﻫﻞ ﺍﻟﺴﻨﺔ ﻭ ﻗﺘﻞ ﻋﻠﻤﺎﺀ ﻫﻢ
অর্থঃ- যেমন আমাদের সময় সংঘটিত আব্দুল ওহাব নজদীর অনুসারীদের লোমহরর্ষক ঘটনা প্রনিধান যোগ্য| তারা নজদ থেকে বের হয়ে মক্কা মদীনার উপর অধিপত্য বিস্তার করেছিলো| তারা নিজেদের হাম্বলী মাজহাবের অনুসারি বলে দাবি করতো| আসলে তাদের দৃঢ় বিশ্বাস ছিলো, তারাই শুধু মুসলমান বাকি সবাই মুশরিক| এজন্য তারা আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের অনুসারীদের হত্যা করা জায়িয মনে করেছে এবং অনেক আলেম কে হত্যাও করেছে|”
দলীল সমূহঃ-
✔ রদ্দুল মুখতার-৩ খন্ড ৪২৭ পৃষ্ঠা,
✔ বাবুল বুগাত|
► ফতওয়ায়ে শামীতে ওহাবী আন্দোলনের সঠিক দিক দর্শন এবং আক্বীদা ও বিশ্বাসঃ
“ইসলামের সুপ্রসিদ্ধ ফতওয়ার কিতাব শামী কিতাবের লিখক আল্লামা শামী রহমতুল্লাহি আলাইহি মুহম্মদ বিন আব্দুল ওহাব নজদীর আক্বীদা-বিশ্বাস সম্বন্ধে অভিমত ব্যক্ত করেন যে, সমস্ত ওহাবীদের আক্বীদা-বিশ্বাস খারিজী আক্বীদা বিশ্বাসের অবিকল অনুরূপ ছিল| অর্থাৎ তারা হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু আলাইহিস সালাম ও হযরত মুয়াবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু-এর মধ্যে সিফফীনের যুদ্ধ চলাকালে হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু-এর মতাদর্শের একেবারে বিরোধী হয়ে গিয়েছিলেন| শেষ পর্যন্ত খারিজী ফিরক্বা হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ও হযরত মুয়াবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উভয়কেই কাফির বলে অভিহিত করেছে| নাঊযুবিল্লাহ| যেমন আজকাল মুহম্মদ বিন আব্দুল ওহাব নজদীর ওহাবী ফিরক্বা দুনিয়ার সকল মানষকে কাফির নামে আখ্যায়িত করতেছে| এরা আরব ভূখণ্ডের নজদ হতে আত্মপ্রকাশ করে| (প্রথম তারা ১৮০১ ইংরেজি সনে কারবালা ও মক্কা শরীফ আক্রমণ করে এবং কা’বা শরীফ-এর গিলাফ ছিঁড়ে ফেলে| অতঃপর ১৮০৪ ঈসায়ী সনে মদীনা শরীফ আক্রমণ করে সেখানকার মাযার শরীফগুলো ধ্বংস করে ফেলে)|”
“বর্তমান যামানায় অবির্ভূত ওহাবী ফিরক্বা যারা নজদ প্রদেশ থেকে আত্মপ্রকাশ করে হারামাইন শরীফাইনে আধিপত্য বিস্তার করে| ইবনে আব্দুল ওহাব নজদী হাম্বলী মাযহাবের অনুসারী ছিল না| তথাপিও সে মানুষকে ধোঁকা দেয়ার জন্য নিজেকে হাম্বলী মাযহাবের অনুসারী বলতো| তার ভ্রান্ত আক্বীদার মধ্যে একটি আক্বীদা এই ছিল যে, তার বিশ্বাসীরাই শুধু মুসলমান, যারা তার বিরোধিতা করবে তারা কাফির ও মুশরিক| তার এই নীতিমালা অনুসারে সে উলামায়ে আহলে সুন্নত শহীদ করা জায়িয মনে করতো|”
► তাফসীরে ছাবীর মতে ওহাবী ফিরক্বা-
“সুবিখ্যাত তাফসীরে ছাবীর গ্রন্থকার বলেন, “প্রত্যেকের অপকর্মই নিজের জন্য সুন্দর|” এ আয়াত শরীফটিতে খারিজী ফিরক্বার কথা ইঙ্গিত করা হয়েছে| এই ফিরক্বার সাধারণ পরিচিতি হল এই যে, তারা কুরআন শরীফ উনার মনগড়া ব্যাখ্যা করে| যা দ্বারা কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফ উনার বিকৃত অর্থ করে এবং কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফ উনার মনগড়া ব্যাখ্যা করে| যা দ্বারা মু’মিন মুসলমানদের জান মাল নষ্ট করা বৈধ মনে করে| বর্তমানে যার উজ্জল দৃষ্টান্ত রয়ে গেছে| তাদের পরিচিতি এই যে, তারা হিজাজ ভূমির একটি ফিরক্বা, যাদেরকে ওহাবী বলা হয়| ওহাবীরা নিজেদেরকে হক্ব মনে করে, প্রকৃতপক্ষে তারা বড় মিথ্যাবাদী| তাদের উপর শয়তান সওয়ার হয়েছে| তাই তারা আল্লাহ পাককে ভুলে গেছে| ওহাবীরা শয়তানের দল| হে মু’মিনগণ! তোমরা শয়তানের দল হতে সতর্ক থেকো| তারা পরকালে ক্ষতিগ্রস্ত হবে|”
দলীল-
✔ তাফসীরে ছাবীর ৩ খন্ড ২৫৫ পৃষ্ঠা|
রাসূলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ভবিষ্যৎবানীর ফলে ১১১৪ হিজরীতে নজদে আব্দুল ওহাবের ঘরে মুহম্মদ ইবনে আব্দুল ওহাবের জন্ম হয়| ১১৪০ হিজরী হতে এই মুহম্মদ ইবনে আব্দুল ওহাব নজদীর ফিৎনা সৃষ্টি হয়| সে আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের বিরুদ্ধে দল তৈরী করে খাঁটি মুসলমানদেরকে হত্যা করতে থাকে| এমনকি মক্কা শরীফ ও মদীনা শরীফের সম্মনিত স্ত্রী ও কুমারীদের সহিত ব্যভিচারে লিপ্ত হয় এবং তাদের দাস-দাসী বানায়| মসজিদে নববীতে মূল্যবান বিছানা ও বাতিগুলো নজদে নিয়ে যায়| হযরত ছাহাবা-ই-কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম ও হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খান্দানের মাজার শরীফগুলো চুরমার করে দেয়| এমনকি হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার রওজা শরীফ ভেঙ্গে দেয়ার জন্যও একদল (নজদীর অনুসারী) উদ্যত হলে মহান আল্লাহ্ পাক এক সাপ পাঠিয়ে তাদের হত্যা করলেন|
► মুহম্মদ ইবনে আব্দুল ওহাব নজদী ও তার অনুসারীদের আক্বীদাগুলো নিম্বরূপঃ-
(১) সে বলেছে, ৬০৬ হিজরী হতে তার সময় কাল পর্যন্ত সমস্ত উম্মতগণ কাফির|
(২) যে ব্যক্তি তার মতাবলম্বী হতে সে মু’মিন| আর যে তার মতাবলম্বী হবে না সে বড় মুত্তাকী হলেও কাফির-মুশরিক|
(৩) হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রকৃত পক্ষে রসূল ছিলেন না বরং তারেশ (বাহক) ছিলেন| (নাউযুবিল্লাহ্)
(৪) হযরত মুহম্মদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি দরুদ শরীফ পড়া মাকরূহ| সে আরো বলে নবীর প্রতি দরূদ শরীফ পাঠকারী ব্যক্তির চেয়ে জেনাকারিনী বেশ্যা কম পাপী| (আসতাগফিরুল্লাহ্)
(৫) ছাহাবা, তাবেঈন, ইমাম-মুজতাহীদগণ কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস হতে যে মাসয়ালা বের করেছেন সে তা মানতে নারাজ|
(৬) তার মতে চার ইমামের অধিকাংশ কথাই ভূয়া| তা শরীয়তের কথা নয়| তারা ভ্রষ্ট ছিলেন এবং মানুষদেরকেও ভ্রষ্ট করেছেন|
(৭) সে জুমুয়ার দিনে মসজিদে খুৎবার সময় ঘোষণা দিত, যারা নবীর উসীলা ধরে তারা অবশ্যই কাফির|
(৮) নবী করিম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার রওজা শরীফ যিয়ারত করা নিষেধ|
(৯) নবী, ওলী, সূফী, বুযুর্গ কারো উসীলা দিয়ে যে দোয়া করবে সে মুশরিক|
(১০) তার মতে ঈমানের ভিত্তি ৬টি| কালেমা, নামায, রোযা, হজ্ব, যাকাত ও তার অনুগামী হওয়া|
(১১) নফল নামায, যিকির, তাসবীহ্, অযিফা, দরূদ, মীলাদ শরীফ ইত্যাদি পড়া সম্পূর্ণ নিষেধ|
(১২) নবী আলাইহিমুস সালামগণ ওফাতের পর কবরে জীবিত নন|
(১৩) দালায়েলুল খায়রাত, কাসিদায়ে বুরদা এবং এই জাতীয় দরুদ শরীফের কিতাবগুলি তারা বিদয়াত বলে জ্বালিয়ে দিয়েছে|
(১৪) তার অনুসারীরা নবী করিম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার রওজা শরীফ জিয়ারত করতে নিষেধ করে থাকে|
(১৫) তারা বলে থাকে আমরা কুরআন শরীফ হাদীছ শরীফ ছাড়া আর কোন কিছু মানবনা| এবং কেউ যদি বলে আমি মিছরী, শামী, হিন্দী, শাফী, হানাফী ইত্যাদি তা মানিনা| আমরা কোন ইমাম বা আলেমের ইক্তেদা ও তাকলীদ করবনা| ইত্যাদি ইত্যাদি|
দলীল-
✔ কিতাবুল আক্বায়িদ|
► ইবনে ওহাব নজদীর বঙ্গানুবাদ “কাশফুল শুবহাত” বইয়ের প্রথম অধ্যায়ের প্রথম পৃষ্ঠায় নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে দোষারোপ করে বলা হয় যেঃ-
১| নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মক্কা শরীফ-এর নেককার কাফিরদের মূর্তি ভেঙে অন্যায় কাজ করেছেন| নাঊযুবিল্লাহ! নজদী ওহাবী কাফিরের নিকট মূর্তি নির্মাণ নেক কাজরূপে গণ্য ছিলো এবং মূর্তি ভাঙ্গা অপরাধে গণ্য ছিল| নাঊযুবিল্লাহ!
২| কাফিররা ইবাদত, হজ্জ, দান-খয়রাত ইত্যাদি নেক কাজ করতো| বিশেষ করে তারা আল্লাহ পাক উনাকে অধিক মাত্রায় স্মরণ করতো| নাঊযুবিল্লাহ!
৩| মুশরিকরা সাক্ষ্য দিতো আল্লাহ পাক তিনি এক| নাঊযুবিল্লাহ!
৪| নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যে সমস্ত মুশরিকদের বিরুদ্ধে জিহাদে অবতীর্ণ হয়েছিলেন তারা তৌহিদ এবং রুবুবিয়তে পূর্ণ বিশ্বাসী ছিলো| তারা আল্লাহ পাক উনার রুবুবিয়তের গুণাবলী মেনে নিয়েছিল| অথচ আল্লাহ পাক উনার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তাদেরকে সেই তৌহিদের অন্তর্ভুক্ত করেননি| নাঊযুবিল্লাহ! (দ্বিতীয় অধ্যায় তৃতীয় পৃষ্ঠা)
৫| মুসলমানদের তুলনায় কাফিররা “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু”-এর অর্থ বেশি ভালো জানতো| নাঊযুবিল্লাহ! (তৃতীয় অধ্যায় সপ্তম পৃষ্ঠা)
৬| মুসলমানরা নবী, ওলী, বৃক্ষ, কবর, জিন প্রভৃতিকে ‘ইলাহ’ এর আসনে উপবেষ্টিত করেন| নবীগণ কাফিরদেরকে একথা বুঝাবার প্রয়োজন মনে করেননি| নাঊযুবিল্লাহ! (তৃতীয় অধ্যায় অষ্টম পৃষ্ঠা)
৭| কাফিররা কালিমার অর্থ বুঝে নিয়েছিলো, কিন্তু মুসলমানগণ তাও বুঝে নিতে সক্ষম হচ্ছে না| নাঊযুবিল্লাহ! (তৃতীয় অধ্যায় নবম পৃষ্ঠা)
৮| স্বয়ং হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নিজের কোনো কল্যাণ বা অকল্যাণ সাধন করতে সক্ষম নন| হযরত আব্দুল কাদের জিলানী (রহতুল্লাহি আলাইহিসহ) অন্যান্যরা তো বহু দূরের কথা| নাঊযুবিল্লাহ! (তৃতীয় অধ্যায় বিশ পৃষ্ঠা)
৯| যাদের সঙ্গে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যুদ্ধ করেছেন, তারা আল্লাহ পাক উনাকে ভালো করে জানতো| নাঊযুবিল্লাহ! (তৃতীয় অধ্যায় বিশ পৃষ্ঠা)**-----*****আহলে হাদীস নাম ইংরেজ সরকারের অবদান।
----------------------------
শুরুর দিকে এ দলটি নিজেদেরকে মুহাম্মাদী, সালাফী, লা-মাযহাবী, ওয়াহাবী, আছারী ইত্যাদি বলে পরিচয় দিত। কিন্তু এসব পরিচয়ে তারা তেমন সুবিধা করতে পারছিল না। তাই বাটালবী সাহেব ইংরেজ সরকার বরাবর দরখাস্ত করলেন “আমার সম্পাদিত এশায়াতুস সুন্নাহ পত্রিকায় ১৮৮৬ইং সনে প্রকাশ করেছিলাম যে, ওয়াহাবী শব্দটি ইংরেজ সরকারের নিমকহারাম ও রাষ্ট্রদ্রোহীর ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। সুতরাং এ শব্দটি হিন্দুস্তানের মুসলমানদের ঐ অংশের জন্য ব্যবহার করা সমীচীন হবে না যাদেরকে আহলে হাদীস বলা হয় এবং যারা সর্বদা ইংরেজ সরকারের নিমকহালালী, আনুগত্য ও কল্যাণই কামনা করে যা বারবার প্রমাণিতও হয়েছে এবং সরকারী চিঠি-পত্রেও এর স্বীকৃতি আছে। অতএব এ দলের প্রতি ওয়াহাবী শব্দ ব্যবহারের জোর প্রতিবাদ জানানো হচ্ছে এবং গভর্নমেন্ট বরাবর অত্যন্ত আদব ও সবিনয় নিবেদন করা যাচ্ছে যে, সরকারীভাবে এই ওয়াহাবী শব্দ রহিত করে আমাদের উপর তা প্রয়োগের নিষেধাজ্ঞা জারী করা হোক। -আপনার অনুগত আবূ সাঈদ মুহাম্মাদ হুসাইন, সম্পাদক এশায়াতুস সুন্নাহ”।
অনুগত বান্দার এ আবেদনের প্রেক্ষিতে ব্রিটিশ সরকারের বিভিন্ন প্রাদেশিক গভর্নর দফতর থেকে “তার দরখাস্ত মঞ্জুর করা হল এবং তাদের জন্য আহলে হাদীস নাম সরকারীভাবে বরাদ্দ করা গেল”-মর্মে চিঠি পাঠানো হয়। সরকারের তরফ থেকে পাঠানো সেসব চিঠির তালিকা লক্ষ্য করুন- পাঞ্জাব গভর্নর সেক্রেটারি মি. ডব্লিউ এম এন- চিঠি নং ১৭৫৮, সি পি গভর্নমেন্ট- চিঠি নং ৪০৭, ইউ পি গভর্নমেন্ট- চিঠি নং ৩৮৬, বোম্বাই গভর্নমেন্ট- চিঠি নং ৭৩২, মাদ্রাজ গভর্নমেন্ট- চিঠি নং ১২৭, বাঙ্গাল গভর্নমেন্ট- চিঠি নং ১৫৫ (সূত্র: এশায়াতুস সুন্নাহ, পৃষ্ঠা ৩২-৩৯, সংখ্যা ২, খণ্ড ১১)।
আহলে হাদীস খেতাব বরাদ্দ পেয়ে বাটালবী সাহেব দীর্ঘ পঁচিশ বছর ধরে হাদীস মানার নামে মুসলমানদেরকে গোমরাহ করেন। এ কাজে তিনি নিজের সবটুকু শ্রম-সাধনা ইংরেজের সন্তুষ্টি অর্জনে বিলিয়ে দেন। তারপর কুদরতের কারিশমা দেখুন, পঁচিশ বছর পর সেই এশায়াতুস সুন্নাহ পত্রিকায় সেই মুহাম্মাদ হুসাইন বাটালবী লিখলেন ‘যে ব্যক্তি ঈমানের গণ্ডি থেকে বের হয়ে যেতে চায় তার জন্য সহজ পথ হল, তাকলীদ (মাযহাবের ইমামের অনুসরণ) ছেড়ে দেয়া।’ (সূত্র: এশায়াতুস সুন্নাহ, খণ্ড ১১, সংখ্যা ২, পৃষ্ঠা ৫৩)। এ যেন নিজের হাঁড়ি নিজেই হাটে ভাঙ্গার নামান্তর।
বাটালবী সাহেব অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে ইংরেজের সেবা করে গেছেন। ইতিহাস এর সাক্ষ্য বহন করে। তিনি মরে গেছেন কিন্তু তার বই-পুস্তক আর ভ্রান্ত মতবাদ আজও রয়ে গেছে। সেগুলোর মাধ্যমে এখনো হাজার হাজার মুসলমান গোমরাহ হচ্ছে।*****বর্তমান প্রচলিত যে তাবলীগ আমরা দেখতে পাই।তার উদ্ভাবক ও প্রবক্তাহলেন ভারতের মেওয়াত নামক স্থানের মৌং ইলিয়াছ মেওয়াতী।তার বাবা চিশতীয়াতরিকার অনুসারী ছিলেন।কিছু বর্ণনা মতে ইলিয়াছের পিতা চিশতিয়া তরিকার পীর ছিলেন ।তাই পীরের ছেলে বলে তাকে সবাই সম্মান করতো।পিতার ইন্তেকালের পরে সুযোগ বুঝে নতুন দল তথা তাবলীগ জামাত আরম্ভ করতে থাকে।কোন লোভে বা কিসের তাড়নায় সে সঠিক পথ বাদ দিয়ে ভ্রান্ত পথের আবিষ্কার করলো? নিশ্চিত ব্রিটিশদের কোনচক্রান্ত আছে ।কেননা ব্রিটিশসরকার টাকা ছিটিয়ে দুশ্চরিত্র মুহাম্মদ ইবনে আবদুল ওহাব-কে দিয়ে ইসলামের মধ্যে ভ্রান্ত একটি দলসৃষ্টি করেছে,যা ওহাবী দলনামে পরিচিত।আর তাবলীগ হলো ওহাবীদের একটা অংশ।কেননা ইলিয়াছ ওহাবী গুরু ঠাকুর রশীদ আহমদগাংগুহীর শিষ্য।ওহাবীরা তাবলীগীদের দিয়ে মুসলমানদের ভেড়ার দলে পরিনত করেছে ।১৯৪০ইং সালে তাবলীগ জামাতের যাত্রাশুরু হয়।ভারতের উত্তর প্রদেশের মেওয়াত অঞ্ছলেরমৌং ইলিয়াছ মেওয়াতী এই ভ্রান্ত তাবলীগ আবিষ্কার করে স্বপ্নের মাধ্যমে ।স্বয়ং ইলিয়াছ মেওয়াতী বলেন,"আজকাল খাবমে মুঝপর উলুমে সহীহাকা এলকা হোতা হায়"।অর্থ আজকাল স্বপ্নে আমার উপর ওহী বাঐশ্বী বাণীর আগমণ ঘটেছে।যখন এইস্বপ্নে প্রাপ্ত তাবলীগ নিজ এলাকায় প্রচার শুরু করেছে ,তখন মেওয়াত এলাকার আলেম উলামা ওসাধারন মানুষ প্রত্যাখ্যান করেন।এই এলাকার আলেম উলামাগণ ফতোয়াদিয়েছে ইহা ইসলাম পরিপন্থীএবং ইসলাম বর্হির্ভত কাজ,সে নবী দাবী করছে।উত্তরে ইলিয়াস বলছে যে তোমরা আমার স্বপ্নের কথাটা অন্তত বিশ্বাস করো।"উস তাবলীগকা তরীকা ভি মুঝপর খাবমে মুনকাশিক হুয়া"আর্থাত্ আমার কর্তৃক স্বপ্নযোগে একটি তাবলীগ ধারা উদঘাটিত ও বিকশিত হচ্ছে(মালফুজাত নং৫০) সে জন্যে তিনি বেশী বেশী ঘুমাতে পারেন পারেন তার ব্যবস্থা করতে হবে।(মালফুজাত ৫০নং)পরর্বতীতে ইলিয়াছকে এ এলাকা থেকে বের করে দেওয়া হয় ।এইজন্যে সে তার নিজ এলাকার মানুষ কে মুশরিক হতে অধমবলতেন(মালফুজাত ১৬৩)পরে তিনিঅন্য এলাকায় তার কাজ শুরু করেন ।স্বপ্ন শরিয়াতের কোন দলিল নয়।স্বপ্ন শয়তানের পক্ষ থেকেও হয়।যেমন ইলিয়াছের ভক্ত মাওঃজাকারিয়া"ফাযায়েলে হজ্জ্ব" এর ১৫৩ পৃষ্টায় উল্লেখ করেন,রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হুকুম বা নিষেধ যদি স্বপ্নে দেখা যায় তাহলে সেটাকে কুরআন-হাদীসের সামনে পেশ করতে হবে।যদি তা কুরআন হাদীসের খেলাফ হয় তাহলে বুঝতে হবে যে,স্বপ্নে শয়তানী প্রভাব আছে।যেহতু ৬ উসুলী তাবলীগ কুরআন হাদীস বিরোধী,মাওঃজাকারিয়ার ভাষ্য অনুযায়ী ইলিয়াছস মেওয়াতীর স্বপ্নে শয়তানী প্রভাব আছে।তাইইলিয়াসী তাবলীগ সম্পূর্ণভাবেমনগড়া মতবাদ,যা নবীজির (দুরুদ)তাবলীগের সাথে বিরোধপুর্ণ।এর আরো প্রমান পাওয়া যায় মাওঃজাকারিয়া কর্তৃক লিখিত'ফাযায়েলে তাবলীগ' কিতাবে।উক্ত কিতাবের ১৫ পৃষ্টায় তিনি উল্লেখ করেন,"দ্বীন ও দ্বীনের বিধানসমুহ উপেক্ষা করিয়া নিজের মনগড়া চিন্তা ধারার মাধ্যমে দ্বীনের উন্নতি কামনা করা হইতেছে"।তাই ইলিয়াসী তাবলীগ মনগড়া।মুলতঃতার ইচ্ছা সেএকটা দল গঠন করবে ।
এবং ওহাবী মতবাদের প্রবক্তা মুহম্মদ আব্দুল ওহাব নজদীর কতিপয় ভ্রান্ত আক্বিদাঃ
↓
মুসলমান জাতির জন্য সব চাইতে একটি বড় দুঃস্বপ্ন, সবচাইতে বড় এক বিপর্যয়, সব চাইতে ভয়ানক এক অধ্যয়ের নাম হচ্ছে ওহাবী ফিৎনা| কুখ্যাত ইয়াজিদের উত্তরসূরি, এবং বৃটিশ সরকারের তিলেতিলে গড়ে তোলা এক এজেন্ট হচ্ছে ওহাবী ফের্কার প্রতিষ্ঠিাতা ইবনে আব্দুল ওহাব নজদী|
এতো ভয়ানক এই ফির্কা যেটা পবিত্র হাদীছ শরীফে সরাসরি সতর্ক করা হয়েছে-
আব্দুল ওহাব নজদীর ফিৎনা সম্পর্কে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ভবিষ্যৎবাণী করেছেন এভাব,
“হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত| তিনি বলেন, একদিন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দোয়া করলেন| আয় আল্লাহ্ পাক! আমাদের শ্যাম ও ইয়েমেন দেশে বরকত দিন| তখন ছাহাবা-ই-কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম আরজু করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমাদের নজদের জন্য দোয়া করুন| হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আবার শ্যাম ও ইয়েমেনের জন্য বরকতের দোয়া করলেন| আবার উনারা বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমাদের নজদের জন্য বরকতের দোয়া করুন| তবুও হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নজদের জন্য দোয়া অস্বীকার করে বললেন, আমি নজদের জন্য কি করে দোয়া করবো? কারণ তো ভূমিকম্প ও ফিৎনার সৃষ্টি হবে এবং তথায় শয়তানী দলের উৎপত্তি হবে|”
দলীল সমূহঃ-


এই প্রসঙ্গে হানাফী মাযহাবের বিখ্যাত কিতাব “রদ্দুল মুখতার” কিতাবে বর্নিত হয়েছে-
ﻛﻤﺎ ﻭﻗﻊ ﻓﻲ ﺯﻣﺎﻧﻨﺎ ﻓﻲ ﺍﺗﺒﺎﻉ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﻮﻫﺎﺏ ﺍﻟﺬﻳﻦ ﺧﺮﺟﻮﺍ ﻣﻦ ﻧﺠﺪ ﻭﺗﻐﻠﺒﻮﺍ ﻋﻠﻲ ﺍﻟﺤﺮﻣﻴﻦ ﻭﻛﺎﻧﻮﺍ ﻳﻨﺘﺤﻠﻮﻥ ﺍﻟﻲ ﺍﻟﺤﻨﺎ ﺑﻠﺔ ﻟﻜﻦ ﻫﻢ ﺍﻋﺘﻘﺪﻭﺍ ﺍﻧﻬﻢ ﻫﻢ ﺍﻟﻤﺴﻠﻤﻮﻥ ﻭﺍﻥ ﻣﻦ ﺧﻠﻠﻒ ﺍﻋﺘﻘﺎﺩﻫﻢ ﻣﺸﺮﻛﻮﻥ ﻭ ﺍﺳﺘﺒﺎﻋﻮﺍ ﺑﺬﻟﻚ ﻗﺘﻞ ﺍﻫﻞ ﺍﻟﺴﻨﺔ ﻭ ﻗﺘﻞ ﻋﻠﻤﺎﺀ ﻫﻢ
অর্থঃ- যেমন আমাদের সময় সংঘটিত আব্দুল ওহাব নজদীর অনুসারীদের লোমহরর্ষক ঘটনা প্রনিধান যোগ্য| তারা নজদ থেকে বের হয়ে মক্কা মদীনার উপর অধিপত্য বিস্তার করেছিলো| তারা নিজেদের হাম্বলী মাজহাবের অনুসারি বলে দাবি করতো| আসলে তাদের দৃঢ় বিশ্বাস ছিলো, তারাই শুধু মুসলমান বাকি সবাই মুশরিক| এজন্য তারা আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের অনুসারীদের হত্যা করা জায়িয মনে করেছে এবং অনেক আলেম কে হত্যাও করেছে|”
দলীল সমূহঃ-


► ফতওয়ায়ে শামীতে ওহাবী আন্দোলনের সঠিক দিক দর্শন এবং আক্বীদা ও বিশ্বাসঃ
“ইসলামের সুপ্রসিদ্ধ ফতওয়ার কিতাব শামী কিতাবের লিখক আল্লামা শামী রহমতুল্লাহি আলাইহি মুহম্মদ বিন আব্দুল ওহাব নজদীর আক্বীদা-বিশ্বাস সম্বন্ধে অভিমত ব্যক্ত করেন যে, সমস্ত ওহাবীদের আক্বীদা-বিশ্বাস খারিজী আক্বীদা বিশ্বাসের অবিকল অনুরূপ ছিল| অর্থাৎ তারা হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু আলাইহিস সালাম ও হযরত মুয়াবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু-এর মধ্যে সিফফীনের যুদ্ধ চলাকালে হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু-এর মতাদর্শের একেবারে বিরোধী হয়ে গিয়েছিলেন| শেষ পর্যন্ত খারিজী ফিরক্বা হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ও হযরত মুয়াবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উভয়কেই কাফির বলে অভিহিত করেছে| নাঊযুবিল্লাহ| যেমন আজকাল মুহম্মদ বিন আব্দুল ওহাব নজদীর ওহাবী ফিরক্বা দুনিয়ার সকল মানষকে কাফির নামে আখ্যায়িত করতেছে| এরা আরব ভূখণ্ডের নজদ হতে আত্মপ্রকাশ করে| (প্রথম তারা ১৮০১ ইংরেজি সনে কারবালা ও মক্কা শরীফ আক্রমণ করে এবং কা’বা শরীফ-এর গিলাফ ছিঁড়ে ফেলে| অতঃপর ১৮০৪ ঈসায়ী সনে মদীনা শরীফ আক্রমণ করে সেখানকার মাযার শরীফগুলো ধ্বংস করে ফেলে)|”
“বর্তমান যামানায় অবির্ভূত ওহাবী ফিরক্বা যারা নজদ প্রদেশ থেকে আত্মপ্রকাশ করে হারামাইন শরীফাইনে আধিপত্য বিস্তার করে| ইবনে আব্দুল ওহাব নজদী হাম্বলী মাযহাবের অনুসারী ছিল না| তথাপিও সে মানুষকে ধোঁকা দেয়ার জন্য নিজেকে হাম্বলী মাযহাবের অনুসারী বলতো| তার ভ্রান্ত আক্বীদার মধ্যে একটি আক্বীদা এই ছিল যে, তার বিশ্বাসীরাই শুধু মুসলমান, যারা তার বিরোধিতা করবে তারা কাফির ও মুশরিক| তার এই নীতিমালা অনুসারে সে উলামায়ে আহলে সুন্নত শহীদ করা জায়িয মনে করতো|”
► তাফসীরে ছাবীর মতে ওহাবী ফিরক্বা-
“সুবিখ্যাত তাফসীরে ছাবীর গ্রন্থকার বলেন, “প্রত্যেকের অপকর্মই নিজের জন্য সুন্দর|” এ আয়াত শরীফটিতে খারিজী ফিরক্বার কথা ইঙ্গিত করা হয়েছে| এই ফিরক্বার সাধারণ পরিচিতি হল এই যে, তারা কুরআন শরীফ উনার মনগড়া ব্যাখ্যা করে| যা দ্বারা কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফ উনার বিকৃত অর্থ করে এবং কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফ উনার মনগড়া ব্যাখ্যা করে| যা দ্বারা মু’মিন মুসলমানদের জান মাল নষ্ট করা বৈধ মনে করে| বর্তমানে যার উজ্জল দৃষ্টান্ত রয়ে গেছে| তাদের পরিচিতি এই যে, তারা হিজাজ ভূমির একটি ফিরক্বা, যাদেরকে ওহাবী বলা হয়| ওহাবীরা নিজেদেরকে হক্ব মনে করে, প্রকৃতপক্ষে তারা বড় মিথ্যাবাদী| তাদের উপর শয়তান সওয়ার হয়েছে| তাই তারা আল্লাহ পাককে ভুলে গেছে| ওহাবীরা শয়তানের দল| হে মু’মিনগণ! তোমরা শয়তানের দল হতে সতর্ক থেকো| তারা পরকালে ক্ষতিগ্রস্ত হবে|”
দলীল-

রাসূলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ভবিষ্যৎবানীর ফলে ১১১৪ হিজরীতে নজদে আব্দুল ওহাবের ঘরে মুহম্মদ ইবনে আব্দুল ওহাবের জন্ম হয়| ১১৪০ হিজরী হতে এই মুহম্মদ ইবনে আব্দুল ওহাব নজদীর ফিৎনা সৃষ্টি হয়| সে আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের বিরুদ্ধে দল তৈরী করে খাঁটি মুসলমানদেরকে হত্যা করতে থাকে| এমনকি মক্কা শরীফ ও মদীনা শরীফের সম্মনিত স্ত্রী ও কুমারীদের সহিত ব্যভিচারে লিপ্ত হয় এবং তাদের দাস-দাসী বানায়| মসজিদে নববীতে মূল্যবান বিছানা ও বাতিগুলো নজদে নিয়ে যায়| হযরত ছাহাবা-ই-কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম ও হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খান্দানের মাজার শরীফগুলো চুরমার করে দেয়| এমনকি হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার রওজা শরীফ ভেঙ্গে দেয়ার জন্যও একদল (নজদীর অনুসারী) উদ্যত হলে মহান আল্লাহ্ পাক এক সাপ পাঠিয়ে তাদের হত্যা করলেন|
► মুহম্মদ ইবনে আব্দুল ওহাব নজদী ও তার অনুসারীদের আক্বীদাগুলো নিম্বরূপঃ-
(১) সে বলেছে, ৬০৬ হিজরী হতে তার সময় কাল পর্যন্ত সমস্ত উম্মতগণ কাফির|
(২) যে ব্যক্তি তার মতাবলম্বী হতে সে মু’মিন| আর যে তার মতাবলম্বী হবে না সে বড় মুত্তাকী হলেও কাফির-মুশরিক|
(৩) হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রকৃত পক্ষে রসূল ছিলেন না বরং তারেশ (বাহক) ছিলেন| (নাউযুবিল্লাহ্)
(৪) হযরত মুহম্মদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি দরুদ শরীফ পড়া মাকরূহ| সে আরো বলে নবীর প্রতি দরূদ শরীফ পাঠকারী ব্যক্তির চেয়ে জেনাকারিনী বেশ্যা কম পাপী| (আসতাগফিরুল্লাহ্)
(৫) ছাহাবা, তাবেঈন, ইমাম-মুজতাহীদগণ কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস হতে যে মাসয়ালা বের করেছেন সে তা মানতে নারাজ|
(৬) তার মতে চার ইমামের অধিকাংশ কথাই ভূয়া| তা শরীয়তের কথা নয়| তারা ভ্রষ্ট ছিলেন এবং মানুষদেরকেও ভ্রষ্ট করেছেন|
(৭) সে জুমুয়ার দিনে মসজিদে খুৎবার সময় ঘোষণা দিত, যারা নবীর উসীলা ধরে তারা অবশ্যই কাফির|
(৮) নবী করিম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার রওজা শরীফ যিয়ারত করা নিষেধ|
(৯) নবী, ওলী, সূফী, বুযুর্গ কারো উসীলা দিয়ে যে দোয়া করবে সে মুশরিক|
(১০) তার মতে ঈমানের ভিত্তি ৬টি| কালেমা, নামায, রোযা, হজ্ব, যাকাত ও তার অনুগামী হওয়া|
(১১) নফল নামায, যিকির, তাসবীহ্, অযিফা, দরূদ, মীলাদ শরীফ ইত্যাদি পড়া সম্পূর্ণ নিষেধ|
(১২) নবী আলাইহিমুস সালামগণ ওফাতের পর কবরে জীবিত নন|
(১৩) দালায়েলুল খায়রাত, কাসিদায়ে বুরদা এবং এই জাতীয় দরুদ শরীফের কিতাবগুলি তারা বিদয়াত বলে জ্বালিয়ে দিয়েছে|
(১৪) তার অনুসারীরা নবী করিম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার রওজা শরীফ জিয়ারত করতে নিষেধ করে থাকে|
(১৫) তারা বলে থাকে আমরা কুরআন শরীফ হাদীছ শরীফ ছাড়া আর কোন কিছু মানবনা| এবং কেউ যদি বলে আমি মিছরী, শামী, হিন্দী, শাফী, হানাফী ইত্যাদি তা মানিনা| আমরা কোন ইমাম বা আলেমের ইক্তেদা ও তাকলীদ করবনা| ইত্যাদি ইত্যাদি|
দলীল-

► ইবনে ওহাব নজদীর বঙ্গানুবাদ “কাশফুল শুবহাত” বইয়ের প্রথম অধ্যায়ের প্রথম পৃষ্ঠায় নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে দোষারোপ করে বলা হয় যেঃ-
১| নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মক্কা শরীফ-এর নেককার কাফিরদের মূর্তি ভেঙে অন্যায় কাজ করেছেন| নাঊযুবিল্লাহ! নজদী ওহাবী কাফিরের নিকট মূর্তি নির্মাণ নেক কাজরূপে গণ্য ছিলো এবং মূর্তি ভাঙ্গা অপরাধে গণ্য ছিল| নাঊযুবিল্লাহ!
২| কাফিররা ইবাদত, হজ্জ, দান-খয়রাত ইত্যাদি নেক কাজ করতো| বিশেষ করে তারা আল্লাহ পাক উনাকে অধিক মাত্রায় স্মরণ করতো| নাঊযুবিল্লাহ!
৩| মুশরিকরা সাক্ষ্য দিতো আল্লাহ পাক তিনি এক| নাঊযুবিল্লাহ!
৪| নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যে সমস্ত মুশরিকদের বিরুদ্ধে জিহাদে অবতীর্ণ হয়েছিলেন তারা তৌহিদ এবং রুবুবিয়তে পূর্ণ বিশ্বাসী ছিলো| তারা আল্লাহ পাক উনার রুবুবিয়তের গুণাবলী মেনে নিয়েছিল| অথচ আল্লাহ পাক উনার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তাদেরকে সেই তৌহিদের অন্তর্ভুক্ত করেননি| নাঊযুবিল্লাহ! (দ্বিতীয় অধ্যায় তৃতীয় পৃষ্ঠা)
৫| মুসলমানদের তুলনায় কাফিররা “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু”-এর অর্থ বেশি ভালো জানতো| নাঊযুবিল্লাহ! (তৃতীয় অধ্যায় সপ্তম পৃষ্ঠা)
৬| মুসলমানরা নবী, ওলী, বৃক্ষ, কবর, জিন প্রভৃতিকে ‘ইলাহ’ এর আসনে উপবেষ্টিত করেন| নবীগণ কাফিরদেরকে একথা বুঝাবার প্রয়োজন মনে করেননি| নাঊযুবিল্লাহ! (তৃতীয় অধ্যায় অষ্টম পৃষ্ঠা)
৭| কাফিররা কালিমার অর্থ বুঝে নিয়েছিলো, কিন্তু মুসলমানগণ তাও বুঝে নিতে সক্ষম হচ্ছে না| নাঊযুবিল্লাহ! (তৃতীয় অধ্যায় নবম পৃষ্ঠা)
৮| স্বয়ং হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নিজের কোনো কল্যাণ বা অকল্যাণ সাধন করতে সক্ষম নন| হযরত আব্দুল কাদের জিলানী (রহতুল্লাহি আলাইহিসহ) অন্যান্যরা তো বহু দূরের কথা| নাঊযুবিল্লাহ! (তৃতীয় অধ্যায় বিশ পৃষ্ঠা)
৯| যাদের সঙ্গে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যুদ্ধ করেছেন, তারা আল্লাহ পাক উনাকে ভালো করে জানতো| নাঊযুবিল্লাহ! (তৃতীয় অধ্যায় বিশ পৃষ্ঠা)**-----*****আহলে হাদীস নাম ইংরেজ সরকারের অবদান।
----------------------------
শুরুর দিকে এ দলটি নিজেদেরকে মুহাম্মাদী, সালাফী, লা-মাযহাবী, ওয়াহাবী, আছারী ইত্যাদি বলে পরিচয় দিত। কিন্তু এসব পরিচয়ে তারা তেমন সুবিধা করতে পারছিল না। তাই বাটালবী সাহেব ইংরেজ সরকার বরাবর দরখাস্ত করলেন “আমার সম্পাদিত এশায়াতুস সুন্নাহ পত্রিকায় ১৮৮৬ইং সনে প্রকাশ করেছিলাম যে, ওয়াহাবী শব্দটি ইংরেজ সরকারের নিমকহারাম ও রাষ্ট্রদ্রোহীর ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। সুতরাং এ শব্দটি হিন্দুস্তানের মুসলমানদের ঐ অংশের জন্য ব্যবহার করা সমীচীন হবে না যাদেরকে আহলে হাদীস বলা হয় এবং যারা সর্বদা ইংরেজ সরকারের নিমকহালালী, আনুগত্য ও কল্যাণই কামনা করে যা বারবার প্রমাণিতও হয়েছে এবং সরকারী চিঠি-পত্রেও এর স্বীকৃতি আছে। অতএব এ দলের প্রতি ওয়াহাবী শব্দ ব্যবহারের জোর প্রতিবাদ জানানো হচ্ছে এবং গভর্নমেন্ট বরাবর অত্যন্ত আদব ও সবিনয় নিবেদন করা যাচ্ছে যে, সরকারীভাবে এই ওয়াহাবী শব্দ রহিত করে আমাদের উপর তা প্রয়োগের নিষেধাজ্ঞা জারী করা হোক। -আপনার অনুগত আবূ সাঈদ মুহাম্মাদ হুসাইন, সম্পাদক এশায়াতুস সুন্নাহ”।
অনুগত বান্দার এ আবেদনের প্রেক্ষিতে ব্রিটিশ সরকারের বিভিন্ন প্রাদেশিক গভর্নর দফতর থেকে “তার দরখাস্ত মঞ্জুর করা হল এবং তাদের জন্য আহলে হাদীস নাম সরকারীভাবে বরাদ্দ করা গেল”-মর্মে চিঠি পাঠানো হয়। সরকারের তরফ থেকে পাঠানো সেসব চিঠির তালিকা লক্ষ্য করুন- পাঞ্জাব গভর্নর সেক্রেটারি মি. ডব্লিউ এম এন- চিঠি নং ১৭৫৮, সি পি গভর্নমেন্ট- চিঠি নং ৪০৭, ইউ পি গভর্নমেন্ট- চিঠি নং ৩৮৬, বোম্বাই গভর্নমেন্ট- চিঠি নং ৭৩২, মাদ্রাজ গভর্নমেন্ট- চিঠি নং ১২৭, বাঙ্গাল গভর্নমেন্ট- চিঠি নং ১৫৫ (সূত্র: এশায়াতুস সুন্নাহ, পৃষ্ঠা ৩২-৩৯, সংখ্যা ২, খণ্ড ১১)।
আহলে হাদীস খেতাব বরাদ্দ পেয়ে বাটালবী সাহেব দীর্ঘ পঁচিশ বছর ধরে হাদীস মানার নামে মুসলমানদেরকে গোমরাহ করেন। এ কাজে তিনি নিজের সবটুকু শ্রম-সাধনা ইংরেজের সন্তুষ্টি অর্জনে বিলিয়ে দেন। তারপর কুদরতের কারিশমা দেখুন, পঁচিশ বছর পর সেই এশায়াতুস সুন্নাহ পত্রিকায় সেই মুহাম্মাদ হুসাইন বাটালবী লিখলেন ‘যে ব্যক্তি ঈমানের গণ্ডি থেকে বের হয়ে যেতে চায় তার জন্য সহজ পথ হল, তাকলীদ (মাযহাবের ইমামের অনুসরণ) ছেড়ে দেয়া।’ (সূত্র: এশায়াতুস সুন্নাহ, খণ্ড ১১, সংখ্যা ২, পৃষ্ঠা ৫৩)। এ যেন নিজের হাঁড়ি নিজেই হাটে ভাঙ্গার নামান্তর।
বাটালবী সাহেব অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে ইংরেজের সেবা করে গেছেন। ইতিহাস এর সাক্ষ্য বহন করে। তিনি মরে গেছেন কিন্তু তার বই-পুস্তক আর ভ্রান্ত মতবাদ আজও রয়ে গেছে। সেগুলোর মাধ্যমে এখনো হাজার হাজার মুসলমান গোমরাহ হচ্ছে।*****বর্তমান প্রচলিত যে তাবলীগ আমরা দেখতে পাই।তার উদ্ভাবক ও প্রবক্তাহলেন ভারতের মেওয়াত নামক স্থানের মৌং ইলিয়াছ মেওয়াতী।তার বাবা চিশতীয়াতরিকার অনুসারী ছিলেন।কিছু বর্ণনা মতে ইলিয়াছের পিতা চিশতিয়া তরিকার পীর ছিলেন ।তাই পীরের ছেলে বলে তাকে সবাই সম্মান করতো।পিতার ইন্তেকালের পরে সুযোগ বুঝে নতুন দল তথা তাবলীগ জামাত আরম্ভ করতে থাকে।কোন লোভে বা কিসের তাড়নায় সে সঠিক পথ বাদ দিয়ে ভ্রান্ত পথের আবিষ্কার করলো? নিশ্চিত ব্রিটিশদের কোনচক্রান্ত আছে ।কেননা ব্রিটিশসরকার টাকা ছিটিয়ে দুশ্চরিত্র মুহাম্মদ ইবনে আবদুল ওহাব-কে দিয়ে ইসলামের মধ্যে ভ্রান্ত একটি দলসৃষ্টি করেছে,যা ওহাবী দলনামে পরিচিত।আর তাবলীগ হলো ওহাবীদের একটা অংশ।কেননা ইলিয়াছ ওহাবী গুরু ঠাকুর রশীদ আহমদগাংগুহীর শিষ্য।ওহাবীরা তাবলীগীদের দিয়ে মুসলমানদের ভেড়ার দলে পরিনত করেছে ।১৯৪০ইং সালে তাবলীগ জামাতের যাত্রাশুরু হয়।ভারতের উত্তর প্রদেশের মেওয়াত অঞ্ছলেরমৌং ইলিয়াছ মেওয়াতী এই ভ্রান্ত তাবলীগ আবিষ্কার করে স্বপ্নের মাধ্যমে ।স্বয়ং ইলিয়াছ মেওয়াতী বলেন,"আজকাল খাবমে মুঝপর উলুমে সহীহাকা এলকা হোতা হায়"।অর্থ আজকাল স্বপ্নে আমার উপর ওহী বাঐশ্বী বাণীর আগমণ ঘটেছে।যখন এইস্বপ্নে প্রাপ্ত তাবলীগ নিজ এলাকায় প্রচার শুরু করেছে ,তখন মেওয়াত এলাকার আলেম উলামা ওসাধারন মানুষ প্রত্যাখ্যান করেন।এই এলাকার আলেম উলামাগণ ফতোয়াদিয়েছে ইহা ইসলাম পরিপন্থীএবং ইসলাম বর্হির্ভত কাজ,সে নবী দাবী করছে।উত্তরে ইলিয়াস বলছে যে তোমরা আমার স্বপ্নের কথাটা অন্তত বিশ্বাস করো।"উস তাবলীগকা তরীকা ভি মুঝপর খাবমে মুনকাশিক হুয়া"আর্থাত্ আমার কর্তৃক স্বপ্নযোগে একটি তাবলীগ ধারা উদঘাটিত ও বিকশিত হচ্ছে(মালফুজাত নং৫০) সে জন্যে তিনি বেশী বেশী ঘুমাতে পারেন পারেন তার ব্যবস্থা করতে হবে।(মালফুজাত ৫০নং)পরর্বতীতে ইলিয়াছকে এ এলাকা থেকে বের করে দেওয়া হয় ।এইজন্যে সে তার নিজ এলাকার মানুষ কে মুশরিক হতে অধমবলতেন(মালফুজাত ১৬৩)পরে তিনিঅন্য এলাকায় তার কাজ শুরু করেন ।স্বপ্ন শরিয়াতের কোন দলিল নয়।স্বপ্ন শয়তানের পক্ষ থেকেও হয়।যেমন ইলিয়াছের ভক্ত মাওঃজাকারিয়া"ফাযায়েলে হজ্জ্ব" এর ১৫৩ পৃষ্টায় উল্লেখ করেন,রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হুকুম বা নিষেধ যদি স্বপ্নে দেখা যায় তাহলে সেটাকে কুরআন-হাদীসের সামনে পেশ করতে হবে।যদি তা কুরআন হাদীসের খেলাফ হয় তাহলে বুঝতে হবে যে,স্বপ্নে শয়তানী প্রভাব আছে।যেহতু ৬ উসুলী তাবলীগ কুরআন হাদীস বিরোধী,মাওঃজাকারিয়ার ভাষ্য অনুযায়ী ইলিয়াছস মেওয়াতীর স্বপ্নে শয়তানী প্রভাব আছে।তাইইলিয়াসী তাবলীগ সম্পূর্ণভাবেমনগড়া মতবাদ,যা নবীজির (দুরুদ)তাবলীগের সাথে বিরোধপুর্ণ।এর আরো প্রমান পাওয়া যায় মাওঃজাকারিয়া কর্তৃক লিখিত'ফাযায়েলে তাবলীগ' কিতাবে।উক্ত কিতাবের ১৫ পৃষ্টায় তিনি উল্লেখ করেন,"দ্বীন ও দ্বীনের বিধানসমুহ উপেক্ষা করিয়া নিজের মনগড়া চিন্তা ধারার মাধ্যমে দ্বীনের উন্নতি কামনা করা হইতেছে"।তাই ইলিয়াসী তাবলীগ মনগড়া।মুলতঃতার ইচ্ছা সেএকটা দল গঠন করবে ।
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)